
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এর সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটিকে বোঝায়। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডি-নথি, ই-গভর্নেন্স সর্বোপরি ডিজিটাল অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চাইলেই নিয়মিত অডিট পরিকল্পনা ও এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে আর্থিক শৃঙ্খলা অনেকাংশে ফিরিয়ে আনতে পারে। এ কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট সেলকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, অডিট ম্যানেজমেন্ট এন্ড মনিটরিং সিস্টেম (এএমএমএস) ২.০ সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি জোরদার এবং গতিশীলতা বাড়বে। অডিট প্রক্রিয়া আরও কম সময়ে ও কম খরচে করা সম্ভবপর হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিকসহ সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্যে ইউজিসি নানা ধরনের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীগণ আর্থিক-অডিট পরিচালনায় সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন খুঁজে পাবেন, যা তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আজ ০৫ আগস্ট (শনিবার) সকাল ৯টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে ইউজিসি’র আয়োজনে ‘অডিট ম্যানেজমেন্ট এন্ড মনিটরিং সিস্টেম (এএমএমএস) ২.০’ সফটওয়্যার বিষয়ে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে আর্থিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিতে অডিটের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভিন্ন রুলস, ভিন্ন ম্যানেজমেন্ট যা নিয়ে পরবর্তীতে অডিট আপত্তি দেখা যায়। এই অডিট আপত্তি আমাদের বন্ধ করতে হবে। এএমএমএস সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করা আরও সহজ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তি সব সময় দুর্নীতি থেকে দূরে রাখে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ডি-নথির মাধ্যমে যে স্বচ্ছতা এসেছে, এই সফটওয়্যার ব্যবহারের আর্থিক খাতে আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। উপাচার্য সব বিশ্ববিদ্যালয়কে একই আর্থিক নীতিমালায় পরিচালনের জন্য একটি ইউনিফাইড সফটওয়্যার তৈরির পরামর্শ দেন। যা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে একটি সুনির্দিষ্ট পথে পরিচালনা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউজিসি’র উপ-পরিচালক (অডিট) মো. আব্দুল মান্নান।
এসময় ইউজিসি’র অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজার রহমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক শেখ মুজিবুর রহমানসহ প্রশিক্ষণে নেওয়া খুলনা অঞ্চলের ১০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগ এবং অডিট সংশ্লিষ্ট ২২ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।